সকাল গেলেই সুবাসের আশেপাশে ঘুরঘুর সুরু করতাম। লাঞ্চে সুবাস বাড়ীর খাবার বের করলে, আমি হ্যাংলা , ধপাস করে বসে কি কি আছে দেখার আছিলা। বাধ্য হয় আমাকে ডাকতে হয় । শেষে এমন দাঁড়াল বাড়ী থেকে বেশি আনা সুরু করে ।
আরও দু চারটে কথা টথাও হোত । কাব্য রোগ আমার নেই মনে হয়। ক্রনিক আমাশা আছে, কবিতা পায় না কখনো । তাই ওর এই সুবাসটা লুকিয়ে রেখেছিল। মানছি এই মনের ভাব প্রকাশ আমার প্রিয়। আমি অক্ষম ।
এ পরবাসে
জন অরন্যে পায় কি সবাই
সমান সুখ ?
একলা হলেই মনে উঁকি দেয়
তোমার মুখ ।
অ্যাডাল্ট, পেরেন্ট জানিনা কোথায়
বাস করে-
শুধুই চাইল্ড এখন মনের
সাজ-ঘরে ।
সময় হারায়, স্মৃতি থেকে যায়,
ভরিয়ে বুক,
প্রতিনিয়তই ঊপহার দিতে
সঙ্গ-সুখ ।
সহজলভ্য যতদিন ছিল
মেশামেশি,
শিখেছি অল্প, বাকী থেকে গেছে
ঢের বেশী ।
হাতের নাগাল দেয়ালের মত
ছিল বাধা,
দূরত্বেই যে দূরত্ব ঘোচে
বুঝেছি তা ।
হত যৌবন, গুটি গুটি পায়ে
চায় ছুটি,
প্রৌঢ়ত্বের সাথে চলে তার
খুনশুটি।
যতই ভাবিনা আপনজনেরা
চারপাশে,
আসলে তো সব রয়েছি আমরা
পরবাসে ।
ভাবছ কি মনে, আমারও হল কি
কাব্য-রোগ ?
লিখছি, কারণ কষ্টটা এতে
হয় বিয়োগ ।
সুবাস
কুড়ি বাইস দিন পার হল অবসরে। বেশ ঢিলে হয় গেছি, আগের থেকেও। নিজেকে রিটায়ার্ড না বলে আনএমপ্লয়ড বা বেকার মনে হচ্ছে বা বলতে ইচ্ছে করছে।
No comments:
Post a Comment