পাব্লিক বাসে সহযাত্রী বকে দিলেন আমাকে “মশাই বয়স তো হলো কাণ্ডজ্ঞান কবে হবে?”
উত্তর দিতে অপারগ। কাণ্ডজ্ঞান কারে কয়? বুধুরামের কাণ্ড মূল কোন জ্ঞান নাই। হালকা উপর চালাকি ভাবটা আছে।
অফিস-বাড়ী বাড়ী-অফিস এমন করে জীবন চলবে না। এক বছরের একটু পরে অফিস শেষ। তখন বাড়ী-রাস্তা-বাড়ী। মাসের শেষে সূদের টাকা তুলতে একবার ব্যাংকে। ফুল বেকার।
বার্দ্ধক্য দ্রুত আগুয়ান। মনে এবং শরীরে। আবার ভুল। মনের অবস্থান শরীরে, দুটোকে আলাদা ভাবার কারন নাই। তবু এমত ভাবনা চলে, পালটানো যায় না। আমি মনে, মন শরীরে। বড় সেরিব্রাল আঘাতে মন আর মনের আমি চুপ মেরে যায় শরীর থাকে ভেন্টিলেশানে বা ইন্টেনসিভ কেয়ারে। বড়াই করার মত যাদের কাণ্ডজ্ঞান, তাও ঘুম ঘরে ঢুকে যায়।
বুধুরাম যে বাজারউলির কাছে ঝিঙা, পটল, শাক, কাঁচকলা কিনে, সে রাত আরাইটেতে বাড়ী থেকে বেড়োয় আবার বিকেল চারটেতে বাড়ী ফেরে। সপ্তাহে সাত দিন। রাস্তায় খোলা আকাশে বারো মাস। কত বছর? গতর চলে যতদিন। ওর হাতে শাঁখা কপালে সিন্দুর আছে। বুধুরামের যাওয়া আসা নে সাকুল্যে ১২ ঘন্টা, পাখার তলায় কাম কাজ, তাও ভাব খানা যেন ক্লান্তিতে নেতিয়ে পড়েন। ভুলে যান ব্লগ ব্লগ কেনো সুরু করা।
No comments:
Post a Comment